সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে সারাদেশে যত সহিংসতা হয়েছে, তার অন্যতম শিকার সংখ্যালঘু (ধর্মের ভিত্তিতে) মানুষজন। বিশেষত হিন্দুরা। এরও আগে রামু, উখিয়া ইত্যাদি উপজেলায় হামলা হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ওপর। এক বা একাধিক ধর্মের মানুষের ওপর হামলা বা সহিংসতা এই একুশ শতকে ইতিহাস হয়ে যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু এগুলোকে বাস্তবতা মেনেই অনেককে দিনযাপন করতে হয়।
কোনো বিশেষ ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার ভিত্তি সাম্প্রদায়িক নাকি রাজনৈতিক, সংখ্যালঘুর জানমাল রক্ষায় সরকার ও বিরোধী দলের ভূমিকা ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে প্রচুর বিশ্লেষণ হয়েছে নির্বাচনপূর্ব ও নির্বাচনোত্তর কালে। সে সময়ের আবহ হয়তো তা-ই দাবি করছিল। এখন তুলনামূলক স্বাভাবিক সময়ে সেই আতঙ্কের দিনগুলোর কথা মাথায় রেখে ভিন্ন এক ভাবনা উপস্থাপন করতে চাই। বলা প্রয়োজন, মানুষকে সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু বা এ ধরনের অভিধায় চিহ্নিত করার বিষয়ে ব্যক্তিগত আপত্তি থাকলেও সহজে বুঝার সুবিধার্থে এ লেখায় এসব শব্দই ব্যবহার করছি।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন হওয়া উচিত উৎসবমুখর; কিন্তু ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কাছে নির্বাচন আসলে আতঙ্কের নাম। একেকটি নির্বাচন আসে, আর তার ফল যা-ই হোক, হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ও হামলার ঘটনা ঘটেই। হামলা ছোট বা বড় যা-ই হোক না কেন, তার ধার যেন কমে না।
ভয়ে ভোট দিতে না গেলেও তাদের ওপর সহিংসতা থেমে থাকে না। হিন্দুধর্মের মানুষের কাছে নির্বাচন তাই যত না ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা কিংবা গণতন্ত্র সুসংহত করার ব্যাপার, তার চেয়েও বেশি নিজেকে বিপন্ন দেখতে পাওয়ার উপলক্ষ। নির্বাচনের অন্তত মাসখানেক আগে থেকে পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে এদেশে হিন্দুদের মানসিক অবস্থা কীরকম থাকে, তা সামাজিক গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে।
এমনটি কি হওয়ার কথা ছিল? এদেশ তো আমাদের সবার, তা যার যে ধর্মই থাকুক! তাহলে কেন নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রতিক্রিয়ার শিকার হতে হচ্ছে হিন্দুদের? এ কি কেবলই রাজনীতির খেলা? নাকি এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে সবল-দুর্বল দ্বন্দ্ব? কিংবা সম্পত্তির লোভ? বা এ কি শুধুই সাম্প্রদায়িকতার প্রকাশ?
কথা প্রসঙ্গে অনেকে যখন বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ– তখন তা চট করে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সময়গুলোকে দিন-মাস-বছর ধরে হিসেব করলে কতক্ষণই বা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মতো ঘটনা ঘটে? যদিও সাম্প্রদায়িক ঘটনার অল্প কিছুই দৃশ্যমান, অধিকাংশ অদৃশ্য।
তবে নিজের দেশকে সাম্প্রদায়িক ভাবতে ভালো তো আর লাগে না। তাছাড়া দেশের মানুষের অধিকাংশ সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে চিন্তাভাবনা করেন বলে বিশ্বাস করাটা কঠিন। কিন্তু আবেগিক মন বনাম নির্বাচনকেন্দ্রিক ফ্যাক্ট– দুটো সবসময় দ্বান্দ্বিক অবস্থানে অনেককে তাড়িয়ে বেড়ায়। বিশেষ করে আক্রান্ত মানুষের মনের অনুভূতি ও মননের বিশ্লেষণ এক জায়গায় থাকার কথা নয়।
যার ঘরবাড়ি লুণ্ঠিত হয়েছে, পোড়ানো হয়েছে সর্বস্ব, ধর্ষিত হয়েছে আপনজন কিংবা পেয়েছে নিদারুণ লাঞ্ছনা– তার অভিজ্ঞতা কীভাবে আবেগ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব? দেশের অধিকাংশ মানুষের অসাম্প্রদায়িকতা তো তাদের রক্ষা করতে পারেনি, পারেনি স্বাভাবিক নিরাপত্তাটুকু দিতে! সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর একাংশের ওপর আঘাত এলে সেই জনগোষ্ঠীর বাকিদের মানসিক অবস্থা কী হয়, নিজেদের তারা তখন কোন লেন্সে নিজেদের ও অন্যদের বিচার করে, তা সেই জনগোষ্ঠীর আওতাভুক্ত না হলে অনুধাবন করা অসম্ভব বৈকি।
আমার বন্ধুদের যারা নারী, তাঁদের অনেকে বলেন, ঘরে-বাইরে মেয়েদের কত ধরনের সমস্যা বা অসুবিধা মোকাবিলা করতে হয়, তা মেয়ে না হলে কখনx-ই উপলব্ধি করা সম্ভব না। একই কথা প্রযোজ্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রেও।
দেশ স্বাধীন হয়েছে কম দিন হয়নি। একটি দেশের খোলনলচে পাল্টে দেওয়ার জন্য এ যথেষ্ট সময়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা প্রত্যাশামতো সামনে এগুতে পারিনি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পিছিয়েছি কি? যে ধর্মনিরপেক্ষতা এদেশ প্রতিষ্ঠার অন্যতম ভিত্তি ছিল, তা এখন কোন অবস্থানে?
স্বাধীন দেশে প্রত্যেকে নিজ অধিকার ও মর্যাদা ভোগ করে চলবে– ন্যূনতম এ আশা সবাই পোষণ করে। কিন্তু হিন্দুরা, বৌদ্ধরা কি তা পারছে? যারা সহিংসতা চালাচ্ছে এবং যারা সহিংসতার শিকার– সবাই এখানকার মানুষ। একজন অন্যকে ন্যূনতম শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে, অপরের অধিকারকে সম্মান জানাবে– আমরা কি তাহলে এ শিক্ষাটুকু সবার মধ্যে সঞ্চারিত করতে পারছি না?
শিক্ষা সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। শিক্ষার অন্যতম জনপ্রিয় সংজ্ঞায় বলা আছে, এটি মানুষের আচরণে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনে, যে আচরণ সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত। আক্রান্ত হওয়ার অনুভূতি থেকে তাহলে প্রশ্ন তোলা যায়– স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশের মানুষ যে শিক্ষাব্যবস্থায় বিকশিত হয়েছে বা হচ্ছে, তাদের একটি অংশ আসলে কী শিক্ষা অর্জন করছে? আমরা যাদের ‘শিক্ষিত’ মনে করি বা নিজেদের ‘শিক্ষিত’ বলে যারা দাবি করি, তাদের কতজন সত্যিই শিক্ষিতের আওতায় পড়ি? বিষয়টি গভীর বিশ্লেষণের দাবি রাখে।
যারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় যুক্ত কিংবা যুক্ত না হলেও এর প্রতি যাদের মৌন সমর্থন রয়েছে, তারা এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যেই বেড়ে উঠেছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কি তাহলে এদের ভুলভাবে তৈরি করেছে? শিক্ষাব্যবস্থায় কি এমন কোনো উপাদান অনুপস্থিত, যা সবাইকে উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে পারছে না? ভিন্নধর্মাবলম্বী হওয়ার কারণে কোনো গোষ্ঠীর ওপর হামলা নিশ্চয়ই সমাজ-স্বীকৃত হতে পারে না।
এটি মেনে নিলে বলতে হবে, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকখানি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখানে এটাও বলা প্রয়োজন, একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সমাজের সামগ্রিক ও অন্যান্য ব্যবস্থা থেকে আলাদা কিছু নয়; ফলে ঢালাওভাবে কোনো একটি ব্যবস্থা বা পদ্ধতিকে দোষারোপ করে লাভ নেই। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে, না থাকলে আজকের যতটুকু অগ্রগতি, সেখানে পৌঁছতে পারতাম না। তারপরও খুঁজে দেখা প্রয়োজন যে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এমন কিছু কি অনুপস্থিত যা সবাইকে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে তুলতে পারছে না?
নামের কারণে এ জীবনে বহুবার আক্রান্ত হতে হয়েছে। স্কুলের অনেক বন্ধু না বুঝেই ‘মা…’ বলে সরবে গালি দিয়েছে। বড় হয়ে তাদের কেউ কেউ গালি দিয়েছে বুঝেশুনেই– কখনও সরবে, কখনও প্রকাশভঙ্গি দিয়ে। যাদের ওপর এ ধরনের গালি বর্ষিত হয়, তাদের মানসিক অবস্থা কী রকম হতে পারে নিশ্চয়ই আন্দাজ করা যায়। তাছাড়া যেখানে সারাটি জীবন আড়ালে-প্রকাশ্যে-ইঙ্গিতে অনেক কিছু শুনতে হয়, তাদের মানসিক অবস্থাকে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কতটুকু ধারণ করতে পেরেছে?
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় যুক্ত মানুষের সংখ্যা কম; আর দুর্বৃত্ত তো সব সমাজেই রয়েছে। কিন্তু মানসিকতায় সাম্প্রদায়িক এমন মানুষের সংখ্যা কি কম? আজকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় একশ্রেণির ‘শিক্ষিতে’র যেসব বক্তব্য দেখা যায়, তার অনেকগুলোতেই সাম্প্রদায়িক মনোভাব স্পষ্ট। তারা তো এই শিক্ষাব্যবস্থারই ফসল। সংখ্যায়ও তারা নেহায়েত কম নয়। জনসংখ্যার অন্তত দশ ভাগও যদি সাম্প্রদায়িক চিন্তাভাবনায় আচ্ছন্ন থাকে, তাহলে এদেশের হিন্দু বা অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর নিজেদের নিরাপদ ভাবার কারণ আছে কি?
সহিংসতাকারীরা শুধু নিজেদের ক্ষমতায় বলীয়ান নয়, অনেকের নিরব সমর্থনও তাদের শক্তির বড় উৎস। এ দিকগুলো আলোচনায় আসা প্রয়োজন। সুকুমার বৃত্তি বিকশিত করে খারাপ মনোবৃত্তি দমন করা শিক্ষার অন্যতম কাজ। অব্যাহতভাবে চলে আসা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা জানান দিচ্ছে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকের ক্ষেত্রে তা করতে পারছে না।
শিক্ষাব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে ঠিক কী করতে পারে? প্রশ্নটির উত্তর জটিল। এক-দুই বাক্যে উত্তর দেওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ। তবে শিক্ষাব্যবস্থার করার আছে অনেক কিছু; কারণ পরিবারের পর শিক্ষাব্যবস্থাই মানুষকে গড়ে তোলে। বিদ্যালয়ে ভর্তির পর শিক্ষার্থীদের এ ব্যবস্থায় থাকতে হয় অনেকটা সময়। সৎ গুণাবলী বিকাশে এ একেবারে কম সময় নয়। এ সময়ে শিক্ষার্থী যেভাবে গড়ে উঠবে, তার ছাপ থাকবে সারাটি জীবন।
সুতরাং পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষাক্রমে বিষয়টি কেন্দ্র করে কিছু বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। পাঠ্যপুস্তকে যদি কিছু বিষয়বস্তু এমনভাবে দেওয়া যায় যা শিক্ষার্থীর বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ দূর করায় সহায়ক, তা নিশ্চয়ই ইতিবাচক সমাজ গড়ায় ভূমিকা রাখবে।
ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা ধর্মের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব নিয়ে কেউ জন্মায় না। মানুষ এগুলো শেখে পরিবার-সমাজ-বিদ্যালয় থেকেই। শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষমতা আছে এ জায়গাটিতে কাজ করার। কিছুকাল আগেও আমাদের পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনাচারের নানা বিষয় যেভাবে ছিল, তা অনেক ক্ষেত্রে ইতিবাচক ছিল না। পরিবর্তিত পাঠ্যপুস্তকে সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে যাতে আদিবাসীদের প্রতি ভুল ধারণার জন্ম না দেয়।
অপর ধর্ম এবং অপর ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জন্মানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে কিছু বক্তব্য বা সুনির্দিষ্ট অধ্যায় রাখা যেতে পারে। শিক্ষকরা যাতে দরদ সহকারে তাদের শিক্ষার্থীদের অসাম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে তুলেন, সেটিও নিশ্চিত করা জরুরি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সঞ্চার ঘটানো যেতে পারে। এখন ধর্ম বিষয়ের সঙ্গে নৈতিকতাকে যুক্ত করা হয়েছে। অসাম্প্রদায়িকভাবে শিশুদের গড়ে তোলা তো নৈতিক শিক্ষারই একটি অংশ।
শিক্ষকরা নানা ধরনের প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি শিক্ষকরা কীভাবে শিক্ষার্থীদের অসাম্প্রদায়িক ও সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারেন, তাও প্রশিক্ষণের অন্যতম বিষয়বস্তু হতে পারে। সহশিক্ষাক্রমিক নানা কার্যক্রমের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের আচরণিক পরিবর্তন আনা যায়।
তবে এও মনে রাখা প্রয়োজন, জীবনের যাবতীয় শেখার বিষয় পাঠ্যপুস্তকের আবদ্ধ ফ্রেমে থাকে না। পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে শেখার ব্যবস্থা হওয়া উচিত সমন্বিত, অক্ষর দিয়ে ভারি করানো পাঠ্যপুস্তক জীবনের কোনো কাজেই আসবে না। পাঠ্যপুস্তকের বাইরে শেখার ব্যবস্থা থাকতে হবে পরিবার আর সমাজেও।
বিদ্যালয় বিচ্ছিন্ন কোনো প্রতিষ্ঠান নয়; কিন্তু আমাদের বিদ্যালয়ের শেখার অনেক বিষয়বস্তু পরিবার ও সমাজ থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। যেভাবে শেখানো হয়, তাও বিচ্ছিন্ন। শিক্ষানীতিতে যেভাবে শিক্ষার্থীদের নৈতিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক ইত্যাদি বিকাশের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো কি শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত হচ্ছে?
শিক্ষানীতি বা এ ধরনের বড় বড় ডকুমেন্টে ভালো ভালো কথা অনেক থাকে। কিন্তু সেগুলোর পুরোপুরি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। দিয়েছি বলেই আধুনিক সময়েও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মতো ঘটনা নিয়ে ভাবতে হয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এমন কোনো পদক্ষেপ কি নেওয়া যায় মাধ্যমে বিদ্যালয়, পরিবার ও সমাজের প্রতিটি মানুষ পারস্পরিক সহায়তার ভিত্তিতে সমাজের কদর্য রূপ বদলে দিতে সচেষ্ট হবে? সমাজ থেকে সাম্প্রদায়িকতা দূরীকরণে নেতৃত্ব দিতে শিক্ষাখাতের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
শিক্ষামন্ত্রী গত কয়েক বছরে বড় বড় কিছু কাজ করেছেন। তার কিছু ফল এখন দৃশ্যমান; অনেক কিছুর সুফল বা প্রভাব পাওয়া যাবে আগামী দিনগুলোতে। বাংলাদেশের আগামী দিনের প্রতিটি নাগরিক যাতে অসাম্প্রদায়িক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে পরিবার, সমাজ ও বিদ্যালয়ের দায়িত্বগুলোকে সমন্বিত করার কাজে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করতে পারে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা।
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে বিডিনিউজ২৪.কম-এর মতামত বিশ্লেষণ বিভাগে। মূল লেখার লিংক এখানে।