মধ্যাহ্ন পার হয়ে বই মেলা এখন অস্তাচলের পথে। সময় যত যাবে, বিদায়ের করুণ সুর বাজতে থাকবে অনেকের মনে; পাশাপাশি বাড়তে থাকবে বেচাবিক্রির হার। মেলা শেষ হওয়ার পর প্রকাশকরা লাভক্ষতির হিসাব করবেন; কর্তৃপক্ষ আরেকটি সফল আয়োজনের দাবিদার হবেন; মিডিয়া হারাবে তিন কলাম পাঁচ ইঞ্চি ভরানোর মতো জায়গা কিংবা কয়েক মিনিট এয়ারটাইম এবং কিছু বিজ্ঞাপন। আর পাঠকবৃন্দ শুরু করবেন সদ্যকেনা নতুন নতুন বই পড়া।
একেকটি বই মেলা শেষ হওয়া মানে পরবর্তী বছরের মেলার জন্য নতুন করে প্রস্তুত হওয়া। শুধু কি তাই? সারা বছরের বই কেনাবেচার এবং এই কেনাবেচা কেন্দ্র করে লেখক-পাঠকের মিলনমেলার সবচেয়ে বড় উৎসব তো শুধু আর্থিক লাভ-ক্ষতির গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকে না! একেকটি বই মেলা জন্ম দেয় নতুন নতুন স্বপ্নের, উপহার দেয় নতুন ও প্রতিশ্রুতিশীল লেখক, পুরনো লেখকদের করে আরও ঋদ্ধ, বদলে দেয় পাঠকের পড়ার দিক ও দৃষ্টিভঙ্গি।
মেলা যদিও শেষ হয়নি, তারপরও বলা যায় দুয়েকটি ঘটনা ছাড়া বাংলা একাডেমি পরিচালনাগত দিক দিয়ে ভালো একটি মেলার আয়োজন করেছে। মেলা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকাশক ও পাঠকদের চাওয়া অনেক, কিন্তু সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও চাইলে অনেক কাজ সুন্দরভাবে করা যায়। এবার স্টলের আকার বেড়েছে, ধুলাবালির উৎপাত কম– এগুলোর জন্য কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই ধন্যবাদ পাবেন। অনেক সময় ছোট ছোট কাজই পরিতৃপ্তির মাত্রা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
মেলায় প্রবেশের সময় অনেক আঁকিয়ে এক রকম জোর করেই, বিশেষত শিশুদের হাতে-গালে শহীদ মিনার, পতাকা ইত্যাদি আঁকার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম উপভোগ্য হলেও এখন এটি বিরক্তিকর পর্যায়ে পৌঁছেছে। মেলার চেকিং গেট যেখানে শুরু, সেখান থেকে অনাহুত কাউকে ঢুকতে না দিলেই কিন্তু মেলার পরিবেশ আরেকটু পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। খেলনা-বাঁশি বিক্রি, পাইরেটেড বই বিক্রি, খাবার বিক্রি, আঁকাআঁকি সবই না হয় থাকুক মেলার বাইরে!
এ রকম ছোটবড় মিলিয়ে একটি বড় লিস্ট তৈরি করা যায় যেগুলো ঠিকঠাক করলে মেলা নিয়ে মানুষের ন্যূনতম অভিযোগ থাকবে না। আমরা তো অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকি!
কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, মেলার শেষ পথে এ আলোচনা কেন? এর একটি বড় কারণ হল, আমাদের প্রায় সবকিছুই মৌসুমভিত্তিক। লেখালেখিটাও সে রকমই। বই মেলা ছাড়া অন্য কোনো সময়ে, সঙ্গতকারণেই, এ লেখা তৈরি হত না। লিখলেও পড়ার জন্য পাঠক পাওয়া যেত না কিংবা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হত না। এখনও যে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হবেই, তা বলা যায় না; কিন্তু, ধারণা করি, মেলা শেষে একাডেমি কর্তৃপক্ষ মেলার সার্বিক আয়োজন নিয়ে মূল্যায়নে বসবেন এবং পরবর্তী বছরে বাড়তি কী কী করা যায়, তার একটি সুপারিশনামা বা নির্দেশনামূলক উপসংহারে পৌঁছাবেন। তখন বা তার আগে যদি এ ধরনের লেখা কর্তৃপক্ষের কাছে কোনোমতে পৌঁছে (কিংবা কোনো সহৃদয় পাঠক যদি একাডেমির নীতিনির্ধারক কারো কাছে পৌঁছে দেন), সে ক্ষেত্রে লেখাটি একটু হলেও কাজে লাগতে পারে বলে মনে করি।
সেটি মাথায় রেখে আগামীবারের বই মেলা আরও সুন্দর ও সফল করার প্রয়াসে কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরছি। বলা বাহুল্য, এ-প্রস্তাবনা শুধু বাংলা একাডেমি কেন্দ্র করে নয়, বরং বই মেলা সফল করার প্রয়াসে আরও যারা জড়িত, সেই প্রকাশক ও পাঠক-ক্রেতাকে উদ্দেশ্য করেও (পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষভাবে) কিছু প্রস্তাব আছে এখানে।
প্রস্তাব ক.
বই মেলা দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার পর স্টলের আকার বেড়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গনে শিশুদের জন্য প্রকাশনীগুলোর আর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকে মূল প্রকাশকদের স্টলগুলো। প্রথম প্রস্তাবনা হচ্ছে, সবগুলো স্টলই উদ্যানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। এতে ক্রেতাদের একবার এদিকে, একবার ওদিকে ঘুরে বেড়াতে হবে না। এক জায়গাতেই সবগুলো স্টল পাওয়া যাবে। তাছাড়া চাইলে মেলার ক্ষেত্রও কিছুটা বাড়ানো যেতে পারে।
এখন যে আকারের স্টল বানানো হচ্ছে, তা স্বাভাবিক দিনের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু বিশেষ দিন, যেমন, একুশে ফেব্রুয়ারি, পহেলা ফাল্গুন, ভ্যালেনটাইনস ডে, শেষের তিন-চার দিনের জন্য এটুকু জায়গা মোটেও যথেষ্ট না। উদ্যানে যেহেতু জায়গা আছে, সুতরাং মেলা কর্তৃপক্ষ স্টলগুলো আরেকটু বড় করার কথা ভাবতেই পারেন। তাছাড়া এখন প্রকাশকও তো অনেক ধরনের। পাইরেটর প্রকাশক, মেলাকেন্দ্রিক প্রকাশক ও মূলধারার প্রকাশক– সবাইকে সমমানে বিবেচনা করে স্টল বরাদ্দ না দিয়ে সত্যিকার বা মূলধারার প্রকাশকদের কিছুটা স্টল বরাদ্দে বাড়তি সুযোগ দেওয়া উচিত।
আরেকটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন। বই মেলা দু’জায়গায় হওয়াতে দুটোকে বিচ্ছিন্ন আয়োজন মনে হচ্ছে অনেক সময়। এমন কোনো কিছু করা যেতে পারে কিনা, যাতে মনে হয় বাংলা একাডেমির মূল প্রাঙ্গন এবং উদ্যানের বই মেলা আদতে একটিই। কাজটি কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে একাডেমি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে পাঠকের কাছ থেকে আইডিয়া আহ্বান করতে পারেন।
প্রস্তাব খ.
স্টল বড় করার প্রস্তাবনার আরেকটি দিক রয়েছে। এখনকার পাঠকরা আগের চেয়ে বেশি সচেতন এবং দিন দিন সচেতনতার মাত্রা বাড়ছে। নির্দিষ্ট কয়েক জন লেখকের বই ছাড়া অন্য বই কেনার আগে পাঠকরা বইয়ের কিছু পৃষ্ঠা উল্টেপাল্টে দেখেন, সম্ভব হলে কিছুটা পড়েও দেখেন। বিশেষত প্রবন্ধ বা এ জাতীয় বইতে কী কী বিষয়ে লেখা আছে ভেতরে, তা ভালোভাবে দেখে তারপরই কেবল তা কিনতে চান। গড়ে একটি বই দেখতে যদি মিনিট তিনেক সময় লাগে এবং পাঠক যদি তিনটি বই দেখেন, তাহলে একটি স্টলে অন্তত দশ মিনিট সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু বেশি পাঠক একসঙ্গে চলে এলে এতটা সময় থাকা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে স্টলের কর্মীরাও এ ধরনের পাঠকদের নানাভাবে অনুৎসাহিত করেন। স্টলটি আরেকটু বড় হলে পাঠক আরও স্বস্তিতে বই দেখেশুনে কিনতে পারবেন।
প্রস্তাব গ.
স্টলের সাজসজ্জা ও কর্মীদের বিষয়েও প্রকাশকদের আরও ভাবা প্রয়োজন। প্রকাশকরা স্টলের বাহ্যিক সাজসজ্জার দিকে নজর দিচ্ছেন বেশি এবং পাঠকদের তা আকৃষ্টও করছে বেশ। বই মেলায় অনেক দৃষ্টিনন্দন স্টল দেখা যায়; কিন্তু বই কীভাবে সাজিয়ে রাখতে হয়, সে দিকে নজর প্রয়োজনের তুলনায় কম। যারা বিভিন্ন ধরনের বই প্রকাশ করেন, তারা একেকটি সারিতে একেক রকম বই রাখতে পারেন কিংবা একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বই রাখতে পারেন যেখান থেকে পাঠকদের পক্ষে বই খোঁজা সুবিধাজনক হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনবোধে লাইব্রেরি সায়েন্সে পড়ুয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
অনেক স্টলে একই সঙ্গে উপন্যাস-গল্প-প্রবন্ধ ইত্যাদির বই এলোমেলোভাবে রাখা দেখেছি। তাছাড়া কোন বইটি পুরনো কিংবা কোনটি নতুন, তাও বোঝার উপায় নেই। প্রচ্ছদের কারণে কোনো কোনো বইয়ের নাম ও লেখকের নাম থাকে উপরে, কোনো বইয়ের নিচে– এগুলো মাথায় রেখে স্টল সাজালে তা পাঠকের জন্য সুবিধার হবে।
ক্রেতা বা পাঠকদের সঙ্গে স্টলের কর্মীরা কী ধরনের আচরণ করবেন, তাও ছোটখাট প্রশিক্ষণের বিষয়। প্রকাশকরা এ ব্যাপারে তাদের কর্মীদের বইমেলা শুরুর আগেই এক-দুদিনের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি, পাঠক কোনো বইয়ের নাম জিজ্ঞাসা করলে কর্মী অম্লান বদনে বলে দিচ্ছেন বইটি নেই। কিন্তু পরে খুঁজে দেখা যায়, বইটি সত্যিই ওই স্টলে আছে। এ ধরনের আচরণ একদিকে যেমন পাঠককে ওই প্রকাশনীর বই কিনতে অনুৎসাহিত করে, তেমনি তা প্রকাশনীর ইমেজের জন্যও ক্ষতিকর। তাছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিক্রয় কর্মীদের রূঢ় ব্যবহারও করতে দেখা যায়।
অবশ্য এটিও উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, সব পাঠক এক রকম নন। বিক্রয় কর্মীরা প্রতিদিন অসংখ্য পাঠক সামলান। পাঠকও যদি নিজ ব্যবহারের প্রতি মনোযোগ দেন, তাহলে অনেক ঝঞ্ঝাট এড়ানো যায়। তবে বিক্রয় কর্মীদের মূল দায়িত্বই হচ্ছে সব ধরনের পাঠক সামলানো।
প্রস্তাব ঘ.
বাংলা একাডেমির মূল প্রাঙ্গনে বর্তমানে থাকা সব ধরনের স্টল বাদ দিয়ে সেখানে শুধু প্রতিদিনকার অনুষ্ঠান হবে। পাশাপাশি বই-সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করা যেতে পারে এই স্থানটিতে। উদাহরণস্বরূপ, একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে প্রকাশিত সবগুলো ‘একুশের সংকলন’ নিয়ে একটি বড় প্রদর্শনী করা যেতে পারে। কিংবা ভাষা আন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে এক বা একাধিক শিল্পীর আঁকা প্রদর্শনীও থাকতে পারে সেখানে। যদিও মূল আয়োজন বই মেলার। কিন্তু মেলার পাশাপাশি বাংলা একাডেমি যে অনুষ্ঠান করে প্রতিদিন, তার পাশাপাশি এ ধরনের আরেকটি আয়োজন মেলার মূল চেতনাকে ব্যাহত করবে না।
প্রস্তাব ঙ.
মূল প্রাঙ্গনে থাকতে পারে আরও একটি কিংবা একাধিক ভিন্ন ধরনের স্টল। বিভিন্ন প্রকাশনী প্রতি বছর বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বই প্রকাশ করছে; কিন্তু সেগুলোর খবর একসঙ্গে জানা পাঠকের পক্ষে মুশকিল। অন্তত ফেব্রুয়ারি মাসে বই মেলা উপলক্ষ্যে প্রকাশ হওয়া নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির বই নিয়ে এক বা একাধিক স্টল থাকতে পারে, যেখানে বই বিক্রি হবে না; পাঠক শুধু বইয়ের তথ্য জানতে পারবেন, বইটি হাতে নিয়ে নেড়েচড়ে দেখতে পারবেন।
উদাহরণস্বরূপ, বই মেলায় বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে শিক্ষা ও শিক্ষা-সম্পর্কিত প্রবন্ধের কী কী বই প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণভাবে জানা পাঠকের পক্ষে অসম্ভব। কোনো একক স্টল যদি থাকে মেলায় যেখানে কোনো প্রকাশনী এ বছর শিক্ষা বিষয়ে কী বই প্রকাশ করেছে, তা জানতে পারবে, তাহলে তার পক্ষে বই দেখা ও বাছাই করা সহজতর হয়। এভাবে অর্থনীতি-সমাজচিন্তা-শিল্পকলা-খেলাধুলা-ভ্রমণ ইত্যাদি নানা ক্যাটাগরির বই কেন্দ্র করে একাধিক স্টল হতে পারে মেলার মূল প্রাঙ্গনটিতে; কিংবা একটি বড় স্টলেই বিভিন্ন ক্যাটাগরির বই থাকতে পারে। পাঠক প্রয়োজনবোধে এখান থেকে বই দেখে পরে নির্দিষ্ট প্রকাশনীতে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত বইটি কিনে নেবেন। প্রয়োজনে সেখানে পাঠকদের বসার জন্য একটি বড় জায়গা থাকবে, যাতে পাঠক বইটি কেনার আগে পড়তেও পারেন কিংবা না কিনলেও পড়তে পারেন।
কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলে এ ধরনের স্টল প্রকাশকেরা যৌথভাবেই মেলার মূল প্রাঙ্গনে স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারেন। এবার যেমন সোহরাওয়ার্দী অংশে প্যাভিলিয়ন স্টল বানানো হয়েছে, মূল মেলা প্রাঙ্গনে এ উদ্দেশ্যে প্যাভিলিয়ন স্টল বানানো হলে তা দারুণ কাজে আসবে বলে মনে করি।
প্রস্তাব চ.
একুশের বইমেলা নিয়ে বাংলা একাডেমির ওয়েব সাইটটি প্রতিনিয়ত আপডেট থাকা জরুরি হয়ে পড়েছে। এদিক দিয়ে একাডেমি অনেকটাই পিছিয়ে। কয়েক দিন আগেই পত্রিকায় খবর বেরিয়েছিল যে, একাডেমির ওয়েব সাইটে বই মেলার কোনো খবর নেই। সম্ভবত পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের পরই একাডেমি কিছুটা কাজ করেছে। এই লেখা যেদিন লিখছি (১৯ ফেব্রুয়ারি), সেদিন একাডেমির ওয়েব সাইটের বইমেলার খবরে বলা আছে: ‘‘এবারের গ্রন্থমেলায় এই পর্যন্ত মোট ২৯৮ টি বই প্রকাশিত হয়েছে।’’
অথচ প্রকৃত সংখ্যাটি অনেক বেশি। একাডেমির উচিত হবে এমন একটি ডেটা বেইজ তৈরি করা যা প্রতি মুহূর্তে আপডেট করা সম্ভব হবে এবং পাঠক (বিশেষত সাংবাদিকবৃন্দ) চাইলে ওই ডেটা বেইজ থেকে বই সম্পর্কে যে ধরনের তথ্য প্রয়োজন, যে কোনো সময় সে ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। আজকের দিনে এ ধরনের ওয়েব সাইট বানানো মোটেই কঠিন কাজ নয় এবং এতে খুব খরচও হয় না। অন্যদিকে, নতুন লেখকদের বই সম্পর্কে কীভাবে পাঠকদের বেশি বেশি জানানো যায়, তারও একটা প্রতিফলন থাকা উচিত একাডেমির ওয়েব সাইটে।
প্রস্তাবনা আরও আছে কিংবা বই মেলার উন্নতিকল্পে এরকম আরও প্রস্তাবনা দেওয়া সম্ভব, কিন্তু আপাতত এই ছয়টিতেই থামছি। মনে রাখা প্রয়োজন, বই মেলা শুধু বই কেনা-বেচার মেলা নয়, পাঠক সৃষ্টিরও এক বড় ক্ষেত্র। লেখক-পাঠক, লেখক-লেখক, পাঠক-পাঠক, পাঠক-প্রকাশক ইত্যাদি কম্বিনেশনে সম্মিলনের ক্ষেত্রও এই মেলা। সুতরাং একুশে বই মেলা পৌঁছে যাক নতুনতর উচ্চতায়, এই স্পৃহা সবার মাঝে থাকলে মেলার সর্বাঙ্গীন উন্নতি হবেই।