প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আজ দুপুরে মরে গিয়েছিলাম।
চামড়াগুলো তেমনভাবে কুঁচকে যায় নি; নখ কিংবা চুলগুলো আরেকটু বেড়েছিল কিনা খেয়াল করি নি তখন
আমার ঘুমিয়ে পড়া দেহটিকে কেউ
উষ্ণতার পরশ দিতে চেয়েছিল কিনা-
জানতে জানতে আসল সময় পেরিয়ে গিয়েছিল;
শুধু আস্তে আস্তে টের পাচ্ছিলাম- গলিত ঠাণ্ডা লাভা জমতে শুরু করেছে ঠিক চামড়ার নিচে-
যেখানে জমা হয় রং ফর্সাকরী ময়েশ্চার ক্রিম।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আজ দুপুরে মরে গিয়েছিলাম-
তখন যদিও হাতের নাগালে তিনটি কবিতা, একটি উপন্যাস এবং কয়েকটি প্রবন্ধের বই ছিল
ওগুলো ছুঁতেও ইচ্ছে করে নি,
মোটা কাপড়ের শাড়িটাকে শুধু গায়ের ওপরে তুলে দিয়েছিলাম।
কবিতার বইয়ের বদলে শাড়ি দিয়ে শীত নিবারণ বিপ্লবীদের শোভা পায় না-
ফলে দুপুরবেলাতেই মরে যেতে হয়েছিল।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় আজ দুপুরে মরে যেতে যেতে
সমাজ-রাজনীতি সব বাদ দিয়ে কেবল নিজের সুখটুকুর কথাই মনে হচ্ছিল।
ক’টা দিন পরেই আমার স্মৃতিকে ঘিরে খানাদানা হবে আনন্দ-উল্লাসে
অসংখ্য গরম কাপড় গায়ে কিংবা গরম মানুষে ভরে যাবে আমার বাড়ি-বিছানা-বারান্দা
এবং ঠিক সেদিনই যাবতীয় ঠাণ্ডা কমে গিয়ে কুয়াশাভেদের আনন্দে উপুর হবে সূর্যবাবু
সবাই কেবল আক্ষেপ করবে আমার ক’টা দিন টিকে থাকার প্রয়াসের জন্য- ফাজলামো;
ফলে…
সমস্ত ঠাণ্ডানুভবের সাদা ভেজা রোদে আজ দুপুরে মরে গিয়েছিলাম।