এক শিক্ষার্থীকে তার কাজের পুরষ্কার হিসেবে একটি বই দেওয়ার কথা ভাবছিলাম। ভাবছিলাম, এমন কোনো বই দেওয়া যায় কি না যেটি তাকে আরও উজ্জীবিত করবে! এক্ষেত্রে মানুষের জীবনীগ্রন্থ ভালো কাজে আসে; বিশেষ করে, যাঁরা প্রচুর পরিশ্রমের পর সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করে। কিন্তু বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মনে হলো, উক্ত শিক্ষার্থীকে পুরষ্কার দেওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বই হচ্ছে রাগিব হাসানের ‘বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা’।
বইটি আমার পুরোপুরি পড়া হয়নি, তবে কিছু অংশ পড়া হয়েছে রাগিব হাসানের সঙ্গে ফেইসবুকে যুক্ত থাকার সুবাদে। তিনি ফেইসবুকে অংশবিশেষ প্রকাশ করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার হিসেবে বই দেওয়ার আগে সবসময় চেষ্টা করি নিজেই বইটি পড়তে, যদি পড়া না থাকে। সঙ্গে যুক্ত ছিলো নিজের আগ্রহও।
বইটি পড়ার পর মনে হলো, পড়তে গিয়ে যা যা অনুভব করেছি সেগুলো লেখা যেতে পারে। অবশ্যই এটি প্রথাগত বই পর্যালোচনা নয়, কেবল একজন পাঠকের অনুভূতির প্রকাশমাত্র।
কিন্তু লিখতে গিয়ে টের পেলাম, অনুভূতি প্রকাশের খুব বেশি কিছু নেই। কারণ আমি বইটি পড়ে মুগ্ধ। লেখক রাগিব হাসান খুব সাবলীলভাবে বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা তুলে ধরেছেন। তাঁদের আঠার জনের মধ্যে চারজন আবার বাঙালি ও উপমহাদেশীয়। বইটি পড়ে আমার এতোটাই ভালো লেগেছে যে, এক কথায় যদি বলি, এই বইটি বিশেষত কিশোরদের খুব ভালো লাগবে, তাহলে মনে হয় প্রায় সবটুকু অনুভবই প্রকাশ করা হয়ে যায়। সুতরাং, অনুভব প্রকাশের সমাপ্তি ঘটিয়ে বইটির সংক্ষিপ্ত পরিচিত, ভালো লাগা ও ভালো না-লাগার কিছু দিক এবং কয়েকটি পরামর্শ ও অনুরোধ দিয়ে লেখাটি সমাপ্ত হবে।
বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা: বই পরিচিতি
ভূমিকা ও জীবনকণিকা ছাড়া বইটিতে মোট আঠারটি অধ্যায় রয়েছে।
ভূমিকাতে লেখক রাগিব হাসান জানিয়েছেন কেন ও কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি বইটি লিখেছেন। একজন শিশু ও কিশোরের যে-ধরনের বিষয়াবলী জানার আগ্রহ থাকে, তিনি সেটিকে ঠিকভাবে ধরতে পেরেছেন বলে আমি মনে করি।
প্রথম অধ্যায়টি তিনি শুরু করেছে আমাদের বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের কথা দিয়ে, যুক্ত করেছেন আইনস্টাইনকেও। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অধ্যায় দুটো আর্কিমিডিসকে নিয়ে। তাঁর বিখ্যাত ‘ইউরেকা’র কথা আমরা শুনেছি, সেটি লিখেছেন; লিখেছেন আরেকটি ভিন্ন ঘটনাও। তবে একজনকে নিয়ে দুটো কাণ্ডকারখানা না লিখে এখানে আরেকজনের ঘটনা যুক্ত করতে পারতেন, কিংবা একই অধ্যায়ে দুটো কাণ্ডকারখানা উল্লেখ করতে পারতেন।
চতুর্থ অধ্যায়ে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আত্মভোলা আইনস্টাইনের সঙ্গে। পঞ্চম অধ্যায়ে জানা যায় প্রতিভাবান গণিতবিদ গাউসের কথা। নিউটনের কথা এসেছে ষষ্ঠ অধ্যায়ে।
এলাইয়াস হাউস কীভাবে সেলাই মেশিন আবিষ্কার করে কাপড়চোপড় তৈরির জগতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন, সেটির মূল বিষয় অর্থাৎ সেলাই মেশিন আবিষ্কারের কাহিনী জানা যাবে সপ্তম অধ্যায়ে। অষ্টম অধ্যায়ে গ্রাহাম বেলের টেলিফোন ও নবম অধ্যায়ে এডিসনের নানা আবিষ্কারের কাহিনীর কথা বলা হয়েছে।
প্রথম নোবেলজয়ী নারী বিজ্ঞানীর কথা এসেছে দশম অধ্যায়ে। তেমনি এসেছে একজন বিজ্ঞানীর কথা যিনি চাইলেই তাঁর আবিষ্কার প্যাটেন্ট করিয়ে বিলিনয়নিয়ার হতে পারতেন, কিন্তু কেবল মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে টাকা কামানোর পন্থা বাদ দিয়ে মানবকল্যাণে আবিষ্কারকে তুলে দিয়েছেন। অপরদিকে, নিজেকে গিনিপিগ বানিয়ে পরীক্ষা করেছেন অপর এক বিজ্ঞানী। এই দুই বিজ্ঞানী জোনাস সাল্ক ও ব্যারি মার্শালের কথা জানা যাবে একাদশ ও দ্বাদশ অধ্যায় দুটোতে।
আলেকজান্ডার ফ্লেমিং-এর পেনিসিলিন আবিষ্কারের কথা আছে ত্রয়োদশ অধ্যায়ে। ভারতীয় বিজ্ঞানী সুব্রামানিয়ান চন্দ্রশেখর জাহাজে লন্ডন যেতে যেতে মাত্র বিশ বছর বয়সে এমন কী আবিষ্কার করলেন যেটি প্রথমে কেউ পাত্তাই দেননি কিন্তু পরে সেটির জন্য নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন? জানতে হলে পড়তে হবে চতুর্দশ অধ্যায়।
মাইক্রোওয়েভ ওভেনের আবিষ্কারক পার্সি স্পেনসার কিংবা বেকরেলের তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে কাজের মজার খবর জানা যায় যথাক্রমে পঞ্চদশ ও ষষ্ঠদশ অধ্যায় থেকে।
শেষ দুটো অধ্যায় যথাক্রমে ভারতীয় গণিতবিদ ভাস্করাচার্য ও বাংলার বিক্রমপুরের পোলা জগদীশ চন্দ্রের কাহিনী। ভাস্করাচার্য কেন তাঁর গণিত বইয়ের নাম রাখলেন ‘লীলাবতী’, তা পড়লে একটি বিষণ্নই হতে হয়। অপরদিকে, আমাদের সাধারণে জানা গাছের প্রাণ আছে, সেটি যে ভুল তা জানা যায় শেষ অধ্যায়টি পড়লে। জগদীশ চন্দ্র আসলে গাছের অনুভূতি আছে সেটি প্রমাণ করেছিলেন। পাশাপাশি, বেতারের জনক হিসেবে আমরা জানতাম মার্কনির কথা; কিন্তু সম্প্রতি ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার্স বেতারের জনক হিসেবে জগদীশ চন্দ্র বসুকে সেই সম্মানটি জানিয়েছে, লেখক আমাদের সেই কথাটি জানিয়েছেন আঠারতম অধ্যায়ে।
বিভিন্ন ধরনের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে এই আঠারোটি অধ্যায়ে। কোনোটি মজার, কোনোটি দৃঢ়তার, কোনোটি অধ্যাবসায়ের। কোনোটি দারিদ্র্যের, কোনোটি পরিশ্রমের, কোনোটি বা আকস্মিক আবিষ্কারের। বইটি পড়ার পর তাই এক ধরনের মিশ্র অনুভূতি হয়। পাঠকরা প্রত্যেকে যে যে অবস্থানেই থাকি না, এই বৈচিত্র্যের কারণে কারো না কারোর ঘটনার সঙ্গে একাত্মবোধ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
বইটির যা যা ভালো লেগেছে
বানান
সম্ভবত দীর্ঘদিন পর এমন একটি বই পড়লাম যেখানে বানান ভুল প্রায় নেই বললেই চলে। আমার চোখে মাত্র দুটো বানান ভুল ধরা পড়েছে। যেমন, একটি হলো ‘রম রমা’। যতদূর জানি, ‘রমরমা’ এক শব্দ। তবে এর বাইরে কিছু বানান রয়েছে যেগুলো একেক জন একেক ধরনে লেখা যায়, আমি এখানে সেগুলোকে ভুল ধরছি না। উদাহরণস্বরূপ, ‘এ ধরনের’-কে অনেকে ‘এ-ধরনের’ লিখেন। লেখক নিজেই বানান ঠিক করেছেন নাকি প্রকাশকের পক্ষ থেকে কেউ কাজটি করেছেন জানা নাই, তিনি ধন্যবাদ পাবেন।
জীবনকণিকা
বিজ্ঞানীদের জীবনকণিকা দেওয়ার বিষয়টি দুর্দান্ত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা পড়তে পড়তে কেউ যদি উক্ত বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে কিছু জানতে চান, তাহলে এটি কাজে লাগবে।
প্রচ্ছদ
সার্বিকভাবে বইটির প্রচ্ছদ দুর্দান্ত, বিশেষ লেটারিং। তাছাড়া বিদেশের অনেক বইতে দেখেছি, প্রচ্ছদেই প্রকাশনীর নাম ও লোগো থাকে। এই বইতে প্রচ্ছদে প্রকাশনীর নাম না থাকলেও লোগো রয়েছে। বিষয়টি ভালো লেগেছে। প্রচ্ছদ করেছেন সাজু, তিনি ধন্যবাদ পাবেন। একটি দুর্বলতা আছে, সেটি পরে বলা হয়েছে।
ছাপা ও বাঁধাই
ছাপা ও বাঁধাই দুর্দান্ত। একটি বই পড়ার আগ্রহ বেড়ে যায় যদি বইটি হাতে নিয়ে ভালো লাগে। ছাপা ও বাঁধাইয়ের কারণে একজন পাঠকের মনে প্রথম দর্শনে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। এজন্য প্রকাশক ধন্যবাদ পাবেন।
বইটির যা যা ভালো লাগেনি
যতি ও বিরাম চিহ্নের ব্যবহার
লেখক কমা ও ড্যাশ ব্যবহারের প্রতি দুর্বল। যেমন, তিনি লিখেছেন,
“আয়না একটা হলে প্রতিফলিত আলোয় তাপের পরিমাণ কমই হতো, কিন্তু এতগুলো আয়নার সমবেত শক্তি কম না, মুহূর্তের মধ্যে সেই জায়গাটার তাপমাত্রা দাঁড়াল কয়েক শ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দাউ দাউ করে ধরে গেল আগুন।”
এই বাক্যে সহজেই দুটো কমা বাদ দিয়ে একাধিক বাক্য তৈরি করা যেতো। শিশু-কিশোরদের মধ্যে যাদের পড়ার দক্ষতা কম, আমার অভিজ্ঞতা থেকে উপলব্ধি করি, তাদের অনেকেই দীর্ঘ বাক্যে খেই হারিয়ে ফেলে।
এছাড়া নানা জায়গায় প্রয়োজন না থাকলেও লেখক ড্যাশ ব্যবহার করেছেন। কেন করেছেন, তা যেমন বুঝতে পারিনি, তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ড্যাশের বদলে কমাও ব্যবহার করা যেতো।
একইভাবে উদ্ধৃতি চিহ্নের ব্যবহারও সব জায়গায় একইরকমভাবে দেয়া হয়নি। একেক জায়গায় একেকভাবে দেওয়া হয়েছে।
ছবির সূত্র প্রদান
লেখক প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছবি দিয়েছেন, কিন্তু ছবির সূত্র দেননি। যেমন, আইনস্টাইনকে লেখা সত্যেন বোসের চিঠির ছবি কিংবা প্রাথমিক যুগের বিশাল মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ছবি। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত ছবিটি কোথা থেকে নেয়া হয়েছে, সেই সূত্র উল্লেখ করা দস্তুর। একজন অ্যাকাডেমিশিয়ান ও উইকিপিডিয়ান হিসেবে লেখকের এগুলো বেশ ভালোভাবে জানার কথা। আজকাল মানুষজন ফেইসবুকে কিংবা সাংবাদিকরাও হরদম অন্যের ছবি ‘সংগৃহীত’ বা ‘কালেক্টেড’ বলে চালিয়ে দেয়। লেখক যদি ছবির সূত্র দিতেন, তাহলে তাঁর পাঠকরা অজান্তে হলেও জেনে যেতো যে, এসব ছবিতে সূত্র দিতে হয়। পাশাপাশি, কোনো কোনো ছবিতে ক্যাপশন দেওয়া নেই, এক্ষেত্রে ছবির বর্ণনার সাযুজ্য রক্ষা হয়নি।
সংখ্যার ব্যবহার
সাধারণত আমরা সংখ্যা লেখার ক্ষেত্রে ১০-এর নিচে হলে তা সংখ্যা আকারে লিখি এবং ১০ বা এর বড় হলে বিশেষ কোনো কারণ না থাকলে সেগুলো বানান করে লিখি। বইটিতে অনেক জায়গায় নম্বরের সাংখ্যিক রূপ দেওয়া হয়েছে, বিশেষ কোনো কারণ না থাকা সত্ত্বেও।
প্রচ্ছদ
বিজ্ঞানী নাম শুনলে আমাদের চোখে যে-ধরনের মানুষের চিত্র ভেসে ওঠে, অর্থাৎ একজন চশমা-পড়া পাকা বড় চুলের বুড়ো বিজ্ঞানী, তেমন ছবিই দেওয়া হয়েছে এখানে। প্রথাগত চিন্তার বাইরে যেতে পারেননি প্রচ্ছদশিল্পী। তাছাড়া বিজ্ঞানীদের নিয়ে লেখা বই বা ম্যাগাজিনে আলবার্ট আইনস্টাইন বা স্টিফেন হকিং-এর ছবি দেয়া প্রথায় পরিণত হয়েছে। এই বইয়ের প্রচ্ছদশিল্পী এর বাইরে যেতে পারেননি।
বইয়ের পৃষ্ঠাসংখ্যা ও দাম
বইয়ের পৃষ্ঠাসংখ্যা অনুসারে দাম বেশি নয়, মুদ্রিতমূল্য ২০০ টাকা। সাধারণত বিশ শতাংশ ছাড়ে কেনা যায়। সে হিসেবে দাম হবে ১৬০ টাকা। কিন্তু বইয়ের ফন্টের আকার বেশি বড় এবং অনুচ্ছেদের মধ্যকার পার্থক্য বেশি হওয়ার কারণে পৃষ্ঠা সংখ্যা বেড়ে গেছে। না-হলে বইটি ৭৫-৮০ পৃষ্ঠার মধ্যে হয়ে যেতো।
লেখক ও প্রকাশকের প্রতি অনুরোধ ও আশাবাদ
বইটির কলেবর বাড়ানো
লেখকের প্রতি অনুরোধ থাকবে বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা বইটিকে পরিবর্ধিত করার। তিনি মোট আঠার জন বিজ্ঞানীর কাণ্ডকারখানা তুলে ধরেছেন। সংখ্যাটি পঞ্চাশ কেন নয়? একসঙ্গে হয়তো এতোগুলো অধ্যায় তৈরি করা যাবে না, সেক্ষেত্রে তিনি প্রতি বছর কিছু কিছু বাড়িয়ে সহজেই কাজটি করতে পারেন। এক বছরেই দ্বিতীয় মুদ্রণ হওয়ায় ধারণা করা যায় বইটি ভালো চলছে। সেক্ষেত্রে বইয়ের কলেবর বাড়লেও প্রকাশক খুশিই হবেন ধারণা করা যায়।
কলেবর ও পৃষ্ঠাসংখ্যার সামঞ্জস্য রাখা
অধ্যায় বাড়লে বা আরও বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা যুক্ত করলে বইয়ের কলেবর বাড়বে, দাম বাড়বে বইয়েরও। সেক্ষেত্রে প্রকাশক ফন্টের আকার কম দেওয়া ও অনুচ্ছেদের মধ্যকার তফাত কমাতে পারেন। ভূমিকা অনুসারে, লেখক বইটি যেহেতু শিশু ও কিশোর এমনকি তরুণ বয়সীদের কথা ভেবে লিখেছেন, অর্থাৎ বইয়ের লক্ষ্যদল যারা, তাদের আরেকটু ছোট ফন্টে বইটি পড়তে অসুবিধা হবে না।
জীবনকণিকার পরিসর বৃদ্ধি
একইসঙ্গে জীবনকণিকায়ও আরেকটু তথ্য দেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে সেসব তথ্য যেগুলোতে একনজরে পুরো মানুষটিকে জানা যাবে।
ইংরেজি শব্দ বাদ দেওয়া
সংখ্যায় কম হলেও কিছু কিছু ইংরেজি শব্দ রয়ে গেছে যেগুলোকে বাংলায় দেওয়া যায়। যেমন, স্কুলের বদলে বিদ্যালয় শব্দটির ব্যবহার। পরবর্তী সংস্করণে আশা করি সেগুলো ঠিক করা হবে।
পরিশেষে, এ-ধরনের মানসম্পন্ন বই সারা বছর প্রকাশিত হোক, এই আশাবাদ ব্যক্ত করি।
বইয়ের তথ্য
নাম: বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা
লেখক: রাগিব হাসান
প্রকাশক: আদর্শ
প্রচ্ছদ: সাজু
প্রকাশকাল: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, দ্বিতীয় মুদ্রণ: ২০ এপ্রিল ২০১৯
আইএসবিএন: 978-984-9266-43-3
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ৯৬
দাম: ২০০ টাকা
Leave a Reply