আয়ূধ
হাজার হাজার নরম মাটির ঢেলা ভেঙ্গে শক্ত ইটের বাড়িগুলো বাইরে থেকে শক্ত-ই ভীষণ! ভেতরের পানিটুকু আগুনে পোড়ার পর মাটির আর্দ্রতা শত্রুজ্ঞানে প্রতারক ভাবে ইটের দেয়ালকে। বৃষ্টিভিজে শুকায় গায়ের লোশনমাখা কিংবা পেইন্টেড চামড়া, তরল অনুপ্রবাহ ভেতরের কিছুই নরম করতে পারে না; যদিও পঁচাগলা পানি কোনোমতে হয়তো চুঁইয়ে চুঁইয়ে নষ্ট করে দেয় দেয়ালের কার্যকারিতা।
প্রতারণা
আমি করেছি এক, করিয়েছে বহু ছলনার আকাঙ্ক্ষা, উপাধিতে হয়েছি ভরপুর। ভেতরের গাঁথুনিটুকু অটুট থাকলেও ইঞ্জিনিয়ারের কাছে তা বাতিল। ঘুমন্ত দিনগুলোর কাছে চোখের পানির লবণটুকু সঞ্চিত হয়ে আছে কেবল- অশ্রুটুকু বাস্পীভূত!
বোধি
শক্ত হাতে ধরা যায় নরম গাছের গোড়া। নরম হাতে ধরা যায় শক্ত মানুষের শরীর। তৃপ্তি মেটে না- যদি দেখি বৃক্ষ হয় ফলহীন। অপাত্রজ্ঞানে তুচ্ছ করি যেভাবে, সেভাবেই বেড়ে ওঠে মানুষের ভেতরকার চাহিদাগুলো। নিজেকে বটবৃক্ষ ভেবে ঝাঁকড়াপাতাগুলো বিদ্রুপ করতে করতে ঘাসের ওপরই ঝরে পড়ে বড় কোনো আঘাতে!
…এবং আমি
হাজার হাজার কিংবা অযুত-নিযুত কণা ইচ্ছের বিরুদ্ধে বানাচ্ছে প্রতারক! উচ্চারিত শব্দের প্রতিটি অর্থই মূল্যবান- যদি তাকে ছুঁয়ে যায় কোনো বোধ- বুঝতে হয় তাকে বিশ্বাস রেখে। প্রতি মুহূর্তের অবিশ্বাস ধ্বংস করে দেয় আস্থার পরমাণু- একদিন গুড়ো গুড়ো হয়ে যাবে বস্তুটি। চেতনা তখন মিটমিটিয়ে হাসবে- দেখো, নিলাম প্রতিশোধ! আহা, জীবন! দাঁতে দাঁত লাগা ক্রোধ-অপমানহত প্রতিজ্ঞার ফসল বেড়ে উঠছে গোকুলে।
Leave a Reply